সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহ অফিস: ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর দাঁত তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের স্বদেশ হাসপাতাল প্রাঃ লিঃ এর ডেন্টাল সার্জন আঞ্জুমান নাহারের (৫৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ বিজ্ঞ ১নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রোগী। মামলায় তিনি ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেক করেন।
ভুক্তভোগী রোগী শাহজালাল উদ্দিন আহম্মদ ময়মনসিংহ সদরের আকুয়া মড়ল পাড়ার মৃত শাহ মোঃ নূরুল্লাহ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগীর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তার দাঁতের সমস্যা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল সার্জন আঞ্জুমান নাহারকে দেখালে তিনি এক্সরে সহ নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আমার দাঁতটি তুলে ফেলার পরামর্শ দেন এবং তার প্রাইভে চেম্বারে যেতে বলেন। দাঁত উঠানোর খরচ বাবদ ২৫০০ টাকা দিতে হবে জানান। পরবর্তীতে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যার দিকে তার প্রাইভেট চেম্বারে গেলে ডাঃ আঞ্জুমান নাহারের দুই সহকারী ভুক্তভোগীর মুখে ৪টি ইনজেকশন পুশ করে।
আঞ্জুমান নাহার তাহার চেয়ারে বসে ছিলেন, তার দুই সহকারী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে জোরপূর্বক দাঁতটি তোলার চেষ্টা করে যান। এক পর্যায়ে রোগীর দাঁতের চোয়াল ফেটে যায়, উপরের তালুতে ছিদ্র হয়ে যায় এবং প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। পরে অভিযুক্ত ডাক্তার নিজে এসে প্লাস দিয়ে টেনে দাঁতটির ২/৩ টুৃকরো বের করে নিয়ে আসে এবং জানায়, অপারেশন সাক্সেসফুল। অথচ তখনো তার দাঁতের কিছু অংশ রয়ে যায়।
পরে অভিযুক্ত ডাক্তার ওই রোগীর কাছে ৫ হাজার টাকা ফিস দাবী করেন। ভুক্তভোগী রোগী ৩হাজার টাকা দিলে তার প্রেসক্রিপশনসহ অন্যান্য কাগজপত্র আটকে রাখে। পরে ওই রোগী আরো ১৫০০ টাকা দিয়ে চিকিৎসার কাগজপত্র উদ্ধার করেন। আরো জানা যায়, ভুক্তভোগী রোগী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মনোয়ারুল ইসলামের নিকট গেলে তিনি সবকিছু দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।